বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন ড. ইউনূস ধান ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার জমি নিয়ে বিরোধ; দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত দোকান বাকীর টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : বৃদ্ধ নিহত হবিগঞ্জে হত্যা মামলা, আ.লীগ সভাপতিসহ ২শ জন আসামি গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে শামীম ওসমান লুকিয়ে থাকার গুঞ্জন, তাল্লাশি শেষে যা বলছে পুলিশ নগদ দুই লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না এ সপ্তাহে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সারাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর গণভবনের মাছ-হাঁসও নিয়ে গেল জনতা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন, ছাড়লেন দেশ

শুক্রবার বসবে পদ্মাসেতুর ৩৯তম স্প্যান

তরফ নিউজ ডেস্ক : আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগামীকাল শুক্রবার পদ্মাসেতুর ৩৯তম স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে। এজন্য প্রস্তুত আছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১০ ও ১১ নম্বর পিলার। যাতে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার।

এর আগে ৩৮তম স্প্যান বসানোর ৬ দিনের মাথায় এ স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। সফলভাবে যা স্থাপন হলে ৬১৫০ মিটার সেতুতে দৃশ্যমান বাকি থাকবে ২টি স্প্যানে ৩০০ মিটার।

শুক্রবার সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে বহন করে নিয়ে যাবে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেন। এরপর বসানো হবে মূল নদীতে থাকা দুই পিলারের ওপর।

এমন পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেছে পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী সূত্র।

একজন প্রকৌশলী জানান, ৩৯তম স্প্যানটি বসানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সবকিছু অনুকূলে থাকলে একদিনের মধ্যেই স্প্যান বসিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। স্প্যানটিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে আসা, মূল নদীতে ভাসমান ক্রেনের নোঙর, এরপর পিলারের উচ্চতায় স্প্যানটিকে তোলা ও বেয়ারিং এর ওপর রাখার ধাপগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা গেলেই কার্যক্রম শেষ হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সকাল ৯টায় কাজ শুরু হয়ে দুপুর ২টার মধ্যেই দৃশ্যমান হবে।

তবে, প্রাকৃতিক কারণ বাধা হয়ে দাঁড়ালে একদিন বেশি সময় লাগতে পারে। অনেকদিন আগেই ‘টু-ডি’ স্প্যানটিকে ইয়ার্ডে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। বর্তমানে ১০, ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর এ চারটি পিলারে তিনটি স্প্যান বসানো বাকি। ৩৯তম স্প্যান ১০ ও ১১ নম্বরে বসানো হয়ে গেলে বাকি থাকবে দুইটি স্প্যান। এছাড়া এ মাসে টার্গেট অনুযায়ী চারটি স্প্যান বসানোর টার্গেট আছে।

চলতি বছরের বিজয় দিবসের আগেই মাওয়া প্রান্তে ৪১তম স্প্যানটি বসার কথা রয়েছে। ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) বসানোর পরিকল্পনা আছে প্রকৌশলীদের।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এর মধ্যে বসানো হয় এক হাজার ২৩৯টির বেশি রোডওয়ে স্ল্যাব। এছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। এরমধ্যে বসানো হয় এক হাজার ৮৪৮টির বেশি রেল স্ল্যাব। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের বসানো স্প্যানগুলোতে এসব স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে তিনটি স্প্যানের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই স্প্যান বসানোর কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মাসেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com